Severity: Warning
Message: mysqli::mysqli(): (HY000/1045): Access denied for user 'impressnews24_admin'@'localhost' (using password: YES)
Filename: front/details2.php
Line Number: 57
Backtrace:
File: /home/thenews71/public_html/application/views/front/details2.php
Line: 57
Function: mysqli
File: /home/thenews71/public_html/application/controllers/News.php
Line: 46
Function: view
File: /home/thenews71/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once
by Md. Saiful islam | | Saturday 26th August 2017 |12:00 AM
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সম্ভ্রান্ত ধার্মিক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। ধর্ম ও ধার্মিকতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঐতিহ্য। শেখ বোরহানউদ্দিন নামে এক ধার্মিক পুরুষ এই বংশের গোড়াপত্তন করেছেন বহুদিন পূর্বে। বঙ্গবন্ধুর বংশপরম্পরা হলো শেখ মুজিবুর রহমান বিন শেখ লুত্ফুর রহমান বিন শেখ আবদুল হামিদ বিন শেখ তাজ মাহমুদ বিন শেখ মাহমুদ ওরফে তেকড়ী শেখ বিন শেখ জহিরুদ্দীন বিন দরবেশ শেখ আউয়াল।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের ধর্মীয় ঐতিহ্য বোঝানোর জন্য তাঁদের এই বংশীয় শেখ উপাধিই যথেষ্ট। এ উপাধির মাধ্যমেই বোঝা যায় এ পরিবারের ইসলাম ধর্মীয় ঐতিহ্য আছে।
মুসলিম সংস্কৃতির অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবার নাম রেখেছেন আরবিতে। বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম শেখ লুত্ফুর রহমান অর্থ দয়ালু আল্লাহর অনুগ্রহ। তাঁর স্ত্রীর নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তাঁর পাঁচ সন্তানের নাম হলো : শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল। প্রতিটি নামের আরবিতে শব্দের অর্থ আছে, হাসিনা শব্দের অর্থ রূপবতী, চিত্তাকর্ষক সৌন্দর্যের অধিকারী। রেহানা বা রায়হানা জান্নাতের একটি ফুলের নাম, একজন নারী সাহাবির নামও রায়হানা। কামাল অর্থ পরিপূর্ণ ও মহৎ গুণের অধিকারী, জামাল অর্থ সৌন্দর্য ও আভিজাত্য আর রাসেল অর্থ পথনির্দেশক।
বঙ্গবন্ধুর পিতা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ণ। মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসারে তাঁর মুখমণ্ডলে ঘন দাড়ি ছিল। তিনি সব সময় টুপি-পাঞ্জাবি পরিধান করতেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি(১৯৭২ সাল) সে সময় দেশের অনেক পত্রিকার সঙ্গে মাসিক মদীনার প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। দুই মাস এর মত মদীনা(মাসিক) পত্রিকা ও বন্ধ ছিল। ওই সময় মাসিক মদীনার সম্পাদকের কাছে ফরিদপুর টুঙ্গিপাড়া থেকে একটি চিঠি আসে। চিঠিটি পাঠিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুত্ফুর রহমান। চিঠির বিবরণ নিম্নরূপ :
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক সাহেব,
সালাম নিবেন। আশা করি কুশলেই আছেন। পর কথা হলো, আমি মাসিক মদীনার একজন নিয়মিত গ্রাহক। গত দুমাস ধরে মদীনা পত্রিকা আমার নামে আসছে না। তিন মাসের বকেয়া বাকি ছিল। তাই হয়তো আপনি পত্রিকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি আমার ছেলে মুজিবকে চিঠি লিখে বলে দিব সে যেন আপনার টাকা পরিশোধ করে দেয়। আমি বৃদ্ধ মানুষ। প্রিয় মদীনা পত্রিকা ছাড়া সময় কাটানো অনেক কষ্টকর। আশা করি আগামী মাস থেকে মদীনা পড়তে পারব। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও আপনার জন্য দোয়া করি।
ইতি
শেখ লুত্ফুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া, ফরিদপুর।
মদীনার সম্পাদক এ চিঠি পড়েই বুঝতে পেরেছেন, কে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। তত্ক্ষণাৎ তিনি চিঠি নিয়ে বঙ্গভবনে চলে যান। তিনি পকেট থেকে বঙ্গবন্ধুর পিতার পাঠানো চিঠিটা বের করে বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন। হাতের লেখা পরিচিত দেখেই তিনি বুঝতে পারেন এটা বাবার চিঠি এবং এক নিঃশ্বাসে চিঠিটা পড়ে ফেললেন। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই চোখ পানিতে ভরে যায় তখন মদীনার সম্পাদকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বললেন, তুই আমার কাছে আরো আগে আসলি না কেন? হারামজাদাদের তো ইসলামী কোনো পত্রিকা বন্ধ করতে বলিনি। আমার বাবা তো আর দুনিয়াতে নাই। গত কয়েক দিন আগে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
উল্লেখ্য, এ চিঠির কপি এখনো মাসিক মদীনার অফিসে সংরক্ষিত আছে।
‘শেখ’ হলো বঙ্গবন্ধু পরিবারের বংশীয় উপাধি। ‘শেখ’ শব্দটি আরবি। এটি এসেছে আরবি ‘শায়খ’ থেকে। এর স্ত্রীলিঙ্গ হলো ‘শায়খা’। আর বহুবচন হলো ‘শুয়ুখুন’। আরবি ভাষায় বয়োবৃদ্ধ সম্মানিত ব্যক্তিকে ‘শেখ’ বলা হয়। আরবি ভাষার শ্রেষ্ঠতম অভিধান লিসানুল আরবের মতে, শেখ বলা হয় ওই ব্যক্তিকে, যাঁর চুলে শুভ্রতা প্রকাশ পেয়েছে এবং যাঁর দেহে বার্ধক্যের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। (ইবনু মানজুর, লিসানুল আরব : ৩১/৩-৩৩)
পবিত্র কোরআনে তিনটি সুরাতে সুরা হুদের ৭২ নম্বর আয়াতে, সুরা ইউসুফের ৭৮ নম্বর আয়াতে, সুরা কাসাসের ২৩ নম্বর আয়াতে শেখ বা ‘শায়খ’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এক জায়গায় ‘শায়খ’ শব্দের বহুবচন ‘শুয়ুখুন’ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ব্যবহৃত হয়েছে সুরা মুমিনের ৬৭ নম্বর আয়াতে।
শেখ বা শায়েখ শব্দটি ইসলামের ইতিহাসে খুবই মর্যাদাপূর্ণ। বলা যায়, সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ইসলামের উপাধিগুলোর অন্যতম হলো শেখ বা শায়েখ। ইসলামের প্রথম দুই খলিফাকে একসঙ্গে ‘শায়খাইন’ বা দুই শায়খ বলা হয়ে থাকে। হানাফি মাজহাবের দুই ইমাম—ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মুহাম্মদ (রহ.)-কে একসঙ্গে ‘শায়খাইন’ বা দুই শায়খ বলা হয়ে থাকে। বিশুদ্ধ হাদিসের প্রধান দুটি গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিম শরিফের দুই লেখককে একসঙ্গে বলা হয় ‘শায়খাইন’। এ ছাড়া যুগে যুগে যেসব হাদিসবেত্তা হাদিস চর্চায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের ‘শায়খ’ বলা হয়। এ শব্দ থেকেই এসেছে ‘শায়খুল হাদিস’ উপাধি। আর এ শব্দ থেকেই এসেছে শেখ শব্দটি।
good
2 min